, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে

  • আপলোড সময় : ০৪-১০-২০২৩ ০৬:৩৫:৩১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-১০-২০২৩ ০৬:৩৫:৩১ অপরাহ্ন
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে
আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট: ভারতের উত্তর সিকিমে অতিভারী বর্ষণে তিস্তা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। সেখানকার জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ড্যাম (বাঁধ) ভেঙে গিয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জলপাইগুড়িতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। ফলে তিস্তাপাড়ে বড় আকারের বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

অপরদিকে টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে হু হু গতিতে তিস্তার পানি বাড়ায় ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাংয়ের ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে নদীর পানির সমতল দ্রুত বেড়েছে। ফলে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির সমতল ৫২.৩০মিটার বিপদসীমা ৫২.১৫ মিটার যা বিপদসীমার ১৫ সে.মি উপরে। কাউনিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ২৮.৩০ মিটার, বিপদসীমা ২৮.৭৫ মিটার যা বিপদসীমার ৪৫ সে.মি নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এদিকে জেলার ৫টি উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্ন লের প্লাবিত হয়েছে। অনেকের ফসলের খেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, তিস্তা নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের সিকিমে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় উজানের ঢেউয়ে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কায় রয়েছে। তাই বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে এ সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে। তবে লালমনিরহাট অংশে ভয়াবহ পানির চাপ হানা দিতে পারে বলে বন্যা সতর্কীকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার পরিস্থিতি সবসময় খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, তিস্তা নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের সিকিমে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। হু হু গতিতে তিস্তার পানি বাড়ায় ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।